অস্ত্রবিরতি মেনেই সিরিয়ায় অভিযান চালাবে তেহরান
Visitor 5
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ায় পূর্বাঞ্চলের ঘৌটায় যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েই অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে ইরান। সেখানকার ‘সন্ত্রাসী’ অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি। ইরানি বার্তা সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পরাশক্তিগুলোর সমঝোতার অভাবে কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরীয় অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ত্রাণ ও চিকিৎসা সরবরাহে ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে একমত হয়েছে সংস্থাটির স্থায়ী-অস্থায়ী ১৫ সদস্য রাষ্ট্রই। তবে এখনও সিরিয়া পরিস্থিতির জন্য পরস্পরকে দুষছে রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তি। এদের স্বার্থগত দ্বন্দ্বের কারণেই অস্ত্রবিরতির ওপর ভোটাভুটি পিছিয়ে যাচ্ছিলো বারবার। নিরাপত্তা পরিষদ শেষ পর্যন্ত প্রস্তাব পাস করলেও পারস্পরিক দোষারোপ অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। পাস হওয়া প্রস্তাব তাই কতটুকু কাজে আসবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে অভিযান বিষয়ে এমন বক্তব্য জানালো ইরান।
ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি বলেন, ‘আমরা অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব মেনে চলব। সিরিয়াও তা মেনে চলবে। তবে দামেস্কর শহরতলীর (ঘৌটা) কিছু এলাকা সন্ত্রাসীরা দখলে রেখেছে। এই এলাকাগুলো অস্ত্রবিরতির আওতায় থাকবে না। সেখানে অভিযান চলবে।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা’র খবরে বলা হয়, বাকেরি আরও বলেছেন, ‘জাতিসংঘের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সেখানে নুসরা ফ্রন্টসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা অংশগুলো অস্ত্রবিরতির আওতায় থাকবে না।’
কুয়েত ও সুইডেনের আনা অস্ত্রবিরতি প্রস্তাবে বৃহস্পতিবার থেকে কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও ভোটাভুটি পিছিয়ে যাচ্ছিলো। শনিবার প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদন পেলেও এর কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও বিমান হামলা চলছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার কর্মীদের। চলছে পারস্পরিক দোষারোপও। সিরিয়ার মিত্র রাশিয়া এই প্রস্তাবে পরিবর্তন চাচ্ছিল। আর পশ্চিমা কূটনীতিকদের অভিযোগ, সময় নষ্ট করছে মস্কো। প্রস্তাবের খসড়ায় বলা হয়, আইএস, আল-কায়েদা ও আল নুসরা ফ্রন্টের বিরুদ্ধে এই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে না। নুসরা ফ্রন্ট মূলত আগে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ছিল। এরপর অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলিত হয়ে নাম রাখে হায়াত তাহরির আল শাম।
0 Comments
Add new comment