সিরিয়ায় এখনই নতুন হামলার পরিকল্পনা নেই পশ্চিমাদের: বরিস জনসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ায় নতুন করে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা নেই পশ্চিমা শক্তিগুলোর। তবে দামেস্ক আবারও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করলে তারা হামলার বিষয়টি চিন্তা করবে। রবিবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এ কথা বলেছেন। এই হামলার বৈধতা ও কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর এ কথা জানালেন তিনি।
জনসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ সিরিয়া দ্বন্দ্ব উসকে দেওয়া বা সরকার পরিবর্তনের জন্য করা হয়নি। তবে আরও বর্বর কোনও রাসায়নিক হামলা যাতে না চালানো হয় সেটা নিশ্চিত করতেই হামলাটি চালানো হয়েছে।
যু্ক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন এর আগে এই হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ভবিষ্যতে কোনও হামলা চালানোর আগে সংসদে অনুমতি নেওয়ার দাবি জানিয়ে করবিন নতুন আইন প্রণয়নের দাবি জানান। সে সময় তিনি বলেন, জাতিসংঘ অনুমতি দিলেই কেবল তিনি সিরিয়ায় হামলা চালাতেন। তবে জনসনের দাবি, রাশিয়ার ভেটো প্রদানের কারণে প্রস্তাবটি কখনওই জাতিসংঘে অনুমোদন করা সম্ভব হবে না।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিট এই হামলায় অংশগ্রহণের আইনগত ভিত্তি তুলে ধরা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বোমা হামলার সফলতার প্রশংসা করলেও সিরিয়া ও তার মিত্ররা এর নিন্দা জানিয়েছে। তারা একে আগ্রাসন হিসেবে অভিহিত করেছে।
দামেস্কে সিরিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদ বৈশ্বিক রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষক সংস্থা-ওপিসিডব্লিউ’র পরিদর্শকদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। রুশ ও সিরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলেন।পরিদর্শকরা সন্দেহভাজন রাসায়নিক হামলার স্থান পরিদর্শনের চেষ্টা করছেন। তবে তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার আগেই পশ্চিমা দেশগুলোর এমন হামলার নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া।
বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহরে রাসায়নিক হামলার অভিযোগ তুলে শুক্রবার দিবাগত রাতে সিরিয়ার তিনটি স্থাপনা লক্ষ্য করে যৌথ হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। রাজধানী দামেস্ক ও হোমস শহরের ওই তিনটি স্থাপনায় আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন করতো বলে অভিযোগ করে আসছে এসব দেশ। এসব স্থাপনা লক্ষ্য করে এরই মধ্যে শতাধিক মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে। দামাস্কাসের একটি রাসায়নিক গবেষণাগার ধ্বংস হওয়ার কথা স্বীকার করেছে সিরিয়া। রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিরিয়ার মিত্র রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চালানো এই হামলার জবাব দেওয়া হবে।
0 Comments
Add new comment